Breaking

Saturday, 20 August 2016

'মা'.... কেন শেষ বয়সে তোমার ঠিকানা হয় ওই বৃদ্ধাশ্রম!!!


যে মেয়েটার বিছানায় গড়াগড়ি করে
কিংবা হাত পা ছুঁড়ে ঘুমানোর অভ্যাস
এক সময় সেই মেয়ে এক কাত হয়ে
সারা রাত পার করে দেয়
কারণ সে জানে তার পাশে শুয়ে আছে ছোট্ট একটা বাবু।
এখন কিছুতেই হাত- পা ছোড়া চলবে না।
যে একটা সময় লাল পিঁপড়ার
কামড় খেয়ে চেঁচিয়ে বাড়ি মাথায় তুলত,
আজ তার ভেতরে বেড়ে উঠা ছোট্ট প্রাণটা
সারাদিন হাত পা ছোড়াছোড়ি করে
প্রতিটা লাথি কলিজায় গিয়ে আঘাত করে
তবু মা দাঁতে ঠোট চেপে সব সহ্য করে,
হয়ত দু ফোঁটা জলও গড়িয়ে পড়ে।
সে জল যতটা কষ্টের তার থেকে অনেক
বেশি আনন্দের কারণ সে অনুভব করে
তার বাবুটা জীবন্ত প্রাণের স্পন্দন।
একদিন নাড়াচাড়া না করলে
অজানা আশংকায় বুক কেঁপে উঠে
"সবকিছু ঠিক আছে তো??"
একদিন হঠাৎ তীক্ষ্ণ যন্ত্রণা।
জানান দেয় তার সন্তানের
পৃথিবীতে আগমন এর সময় হয়েছে।
বোধ হয় কলিজাটা কেউ টেনে ছিঁড়ে ফেলছে।
বিশটি হাড় একসাথে ভেঙে দেওয়ার কষ্ট
নারীজাতি সেদিনই অনুভব করতে পারে।
এত কষ্টের পর সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে
মায়ের ক্লান্ত বিধ্বস্ত চেহারা খানি
এদিক ওদিক খোঁজে ফেরে
একজনকে মৃদু করে বলে "আমার বাবু কোথায় ?"
ছোট্ট একটা রক্ত মাখা শরীর তুলে দেওয়া হয় তার কোলে।
টপটপ করে নোনা জল গড়িয়ে পড়ে সে দেহে।
তার বুকে মাথা রেখে মা বাবুটার হৃদস্পন্দন শোনে।
আচ্ছা এটা কেন বলে না
"তুই আমায় খুব ব্যথা দিয়েছিস।
তোকে আমার লাগবে না।
"মা জানে তার এই ছোট্ট বাবুটা ছাড়া তার একদম চলবে না ।
বাবুটা মায়ের বুকের উষ্ণতায় চুপটি শুয়ে থাকে
মায়ের নির্ঘুম চোখ তাকে সারারাত পাহারা দেয় ।
ফিসফিস করে বাবুটাকে শোনায়
"তুই ভাল থাকলেই আমি ভাল থাকব।
"তুমি কি করে পার মা ? 
তবুও কেন আমরা তোমার মর্যাদা দিতে পারি না..??
কেন শেষ বয়সে তোমার ঠিকানা হয় ওই বৃদ্ধাশ্রম! :(